অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, গত অর্থবছরের (২০২১-২২) তুলনায় চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বৈদেশিক বাজেট সহায়তা কমছে। গত অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সরকার ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পেয়েছে। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এসব সংস্কারমূলক কাজের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক সময় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারকে ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট দেয়। কাজেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বাজেট সাপোর্ট গ্রহণ করছে বিষয়টি এ রকম নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প চলমান

ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী এসব প্রকল্পের মধ্যে একটি গত বছরের ১৫ জুন, ৯টি গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে, ১০টি আগামী জুনে, ১৪টি চলতি বছরের ডিসেম্বরে, ১২টি ২৪ সালে, ১৩টি ২০১৫ সালে ও ৬টি ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকার দলীয় কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও আলী আজমের পৃথক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধি করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে।

সরকার দলীয় কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষি সহায়তা দেওয়ার নিমিত্তে কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।

নোয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করে যাচ্ছে। এনবিআর আশা করে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে।

এসআর/জেডএস