গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনসহ ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা জানান, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৪৯ ধারা অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর ন্যূনতম মজুরি হার সুপারিশের বিধান এবং ১৪০ (ক) ধারায় বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নতুনভাবে মজুরি কাঠামো ঘোষণার বিধান আছে। কিন্তু গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে সর্বশেষ ঘোষিত মজুরি কার্যকর হয় ২০১৮ সালের এক ডিসেম্বর। পাঁচ বছর পর পর মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও ইতিমধ্যে দুই মাস অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মজুরি কাঠামো গঠনের কোন দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি।

দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি দেশের সাত কোটিরও বেশি শ্রমজীবীর জীবনকে দুর্বিষহ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।

বক্তারা বলেন, বিশ্ববাজারের দোহাই এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে শ্রমজীবীরা যেসব পণ্য ব্যবহার করে সেসব পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রকৃত মজুরি অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকরা অপুষ্টি আর কঠিনতম জীবনযাপন করছে। তাই গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি গঠন ও ২০২৩ সালের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, মানদণ্ড, বিভিন্ন গবেষণা, শিল্পের সক্ষমতা ও আমাদের পর্যালোচনায় গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের পরিবারের অন্ততপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ আয় করতে হলেও ২৩ হাজার টাকার নিচে মজুরি দিয়ে কোনভাবেই হবে না। এমতাবস্থায় গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন ও শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকাসহ পাঁচটি গ্রেডে মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক কামরুল আহসান, আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।

এমএইচএন/এমজে