ডিএনসিসি এলাকার মশকনিধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম

মশকনিধন কর্মীদের মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘পদ্ধতিগত পরিবর্তন করতে হলে মশকনিধন কর্মীদের মনিটরিং করতে হবে। তাদের হাজিরা এখনও সনাতনী পদ্ধতিতে হচ্ছে। এ জন্য বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার দরকার। আমরা অতি দ্রুত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করব।’

রোববার (১৪ মার্চ) রাজধানীর উত্তরা ও নিকুঞ্জে চলমান সমন্বিত মশকনিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন মেয়র। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন ওয়ার্ডগুলোতে প্রচুর খাল-বিল জলাশয়, ডোবা-নালা আছে। এগুলো কচুরিপানায় ভর্তি। পুরো সিস্টেমকে ঠিক করতে হলে সমন্বিত মশকনিধন ব্যবস্থাপনা (আইভিএম) করতে হবে। আমরা একদিনও বসে নেই। বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জগুলোকে সনাতনী পদ্ধতিতে সমাধান করা সম্ভব নয়। এ পদ্ধতিতে কীভাবে আধুনিক করা যায়, এ বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’

তিনি বলেন, ‘গত সাত দিন আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। মশকনিধন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মশক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান সনাতনী পদ্ধতি থেকে আমাদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে যেতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন নিয়ে এসেছি।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা গতকাল ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছি। সেখানে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মশা আর মশা। এটি একটি ব্যক্তিগত জায়গা। আমি বারবার বলছি, ঘরের ভেতরে যেমন পরিষ্কার করতে হবে, ঘরের বাইরেও করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা মাঠে ময়দানে দেখছি।’

আসন্ন মৌসুমে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আতিকুল বলেন, ‘গতকাল বৃষ্টি হয়েছে। আমরা জানি, বৃষ্টি হলে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ে। সেটি আরেকটি চ্যালেঞ্জ শুরু হয়ে গেছে। কিউলেক্স মশানিধনের অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশার অভিযান শুরু হবে।’

কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ৮ মার্চ শুরু হওয়া ডিএনসিসির অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) রোববার ষষ্ঠ দিনের মতো অব্যাহত ছিল। আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) এ অভিযান পরিচালিত হয়। এছাড়া আগামীকাল উত্তরখান ও দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭ ও ৮) সমন্বিত মশকনিধন অভিযান পরিচালিত হবে। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

আজকের অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এফআর