ছুটির দিনে জমে উঠছে বইমেলা
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমে উঠতে শুরু করেছে বইমেলা। ছুটির দিন হওয়ায় স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে প্রাণের বইমেলা প্রাঙ্গণে আসছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশুদের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস।
আজ (শুক্রবার) ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তাই সকাল থেকে শুরু হয়েছে বইপ্রেমীদের আনাগোনা। স্টলে স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখে বই কিনছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শিশুতোষ বই নিয়ে আলাদা ‘শিশু চত্বর’ রাখা হয়েছে। এদিন মেলায় শিশুদের আধিক্য দেখা গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বড়দের পাশাপাশি এদিন মেলায় এসেছে ছোট্ট সোনামণিরা। শিশু প্রহরে সিসিমপুরের হালুম, ইকরি, শিকু ও টুকটুকিদের সঙ্গে সময় কাটাতে পরিবারের সঙ্গে মেলায় এসেছে তারা।
এদিকে বই কেনার চেয়ে স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখার প্রতিই সবাই মনোযোগী বেশি। মূলত ছুটির দিন হওয়ায় ঘুরতে এসেছেন বেশিরভাগই।
ধানমন্ডি থেকে আসা দর্শনার্থী সাগর হোসেন বলেন, আমি প্রতি বছরই বইমেলা ঘুরতে আছি। কিছু বই কিনে থাকি। মেলায় আসলে বই পড়ার প্রতিও আগ্রহ বাড়ে।
মায়ের সঙ্গে বইমেলা দেখতে এসেছে সুরাইয়া। একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী জানায়, মেলায় এসে ভালো লাগছে। গল্পের বই দেখছি। এখনো কেনা হয়নি।
বইপ্রেমীদের আনাগোনায় বেশ খুশি লেখক-প্রকাশকরা। তারা বলেন, আজ মেলায় জনসমাগম বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। বইপ্রেমীরা আসছেন, বই দেখছেন। সংখ্যায় কম হলেও বই কিনছেন অনেকেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
ঝিনুক প্রকাশনীর বই বিক্রেতা সোহরাব হোসেন বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। মাত্র তো মেলা শুরু হলো, আশা করছি এবার ভালোই বিক্রি করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, গত বছর করোনার কারণে তেমন ব্যবসা করতে পারিনি। এবার তা পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।
ফাঁদন ও দহন বইয়ের লেখক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমি অনেক আশা নিয়ে মেলায় এসেছি। মেলায় আমার নিজের লেখায় দুটি বই রয়েছে। পাঠক ও ক্রেতারা মেলায় আসছেন, স্টলে স্টলে ঘুরে দেখছেন। আশা করছি, সময়ে সঙ্গে সঙ্গে মেলা আরও জমে উঠবে।
এমএসআই/কেএ