আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ দিনে নারী দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। কেউ কেউ স্বজন, কেউ বা বান্ধবী কিংবা অনেকে সহকর্মীর সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসেছেন। 

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মেলায় গিয়ে টিকিট কাউন্টার, প্রবেশ পথ ও ভেতরের প্রতিটি স্টলে নারীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। 

কেনাকাটার পর বিভিন্ন দোকান ও মাঠে বসার জায়গায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে মেলায় আসা নারীদের। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব কিংবা স্বজনদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন, আড্ডা গল্প করছেন। আবার কেউ কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন।

ছেলে-মেয়ে ও বোনদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে মেলায় আসা শামসুন্নাহার রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এসেছি কিছু কেনাকাটা করার জন্য। এতক্ষণ সবকিছু ঘুরে দেখেছি, এখন কিছু কেনাকাটা করব, তারপর বেরিয়ে যাব।

রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে বান্ধবীর সঙ্গে আসা আইরিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেলা থেকে কিছু কসমেটিকস কিনব। পছন্দমতো আরও কিছু পেলে তাও কিনব। প্রথমবারের মতো বান্ধবীদের সঙ্গে মেলায় এসেছি। মেলায় অনেক মজা করব।

দিল্লি এলুমিনিয়াম নামের একটি দোকানে কর্মরত আশিকুজ্জামান বলেন, মেলায় পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি আসেন, তারা কেনাকাটাও বেশি করেন। আমাদের দোকানে একজন পুরুষ আসলে বিপরীতে ১০ জন নারী আসেন। 

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাসব্যাপী মেলার আজ শেষ দিন। এটি ঢাকার ২৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। 

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়। আগে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। 

২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রাঙ্গণ মেলার জন্য জায়গা নির্ধারিত হয়েছে।

এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন অংশ নিয়েছে।

এমআই/কেএ