আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৭০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে হাতে থাকা কতটি মেশিন ব্যবহার উপযোগী আছে তার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।

সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট স্বার্থে দুই লাখ নতুন মেশিন কেনার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প নিতে সরকারকে প্রস্তাব করেছিল ইসি। তবে গত ২২ জানুয়ারি আর্থিক সংকটের কারণে সেই প্রকল্প প্রস্তাবটি আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এক্ষেত্রে চলমান ইভিএম প্রকল্প দিয়েই যতটা সম্ভব আসনে ভোট করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে কতটি আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করার যাবে তা এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি সংস্থাটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হাতে যেসব ইভিএম আছে, তা দিয়েই ভোট করব কি করব না এটা কিন্তু বলিনি। সময় আছে অনেক। বর্তমানে দেখা হচ্ছে কতগুলো ইভিএম ভালো আছে। এক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৭০টি আসন, এমন একটি ফিগার হতে পারে আমার ধারণা।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বে নির্বাচন কমিশন দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে। সেই মেশিনগুলো দিয়েই গত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু কিছু মেশিন অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু আর ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া সংসদের নির্বাচনের জন্য কতগুলো ব্যবহার করা যাবে তাও পরীক্ষা করে দেখছে কমিশন।

এসআর/এমএ