ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) গৃহীত নানা প্রকল্পে সহযোগিতার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে সাক্ষাতকালে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাতকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন গৃহীত নানাবিধ উদ্যোগ ও প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করলে রাষ্ট্রদূত সেসব প্রকল্পে সহযোগিতার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত কিউন এসময় বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সব উন্নয়ন প্রকল্প ইআরডি হয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও অর্থায়নকারী এজেন্সির কাছে যায়। এক্ষেত্রে কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) অর্থায়ন করতে পারে। এ ধরনের কোনো প্রস্তাব সরকারের কাছ থেকে আমাদের কাছে গেলে আমরা তা দ্রুত ও যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।

রাষ্ট্রদূত এসময় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসকে বাংলাদেশ-কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে গৃহীত নানা উদ্যোগের বিষয়ে অবগত করেন।

জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশ সম্পর্ক খুবই সুদৃঢ় ও সময়ের পরিক্রমায় পরীক্ষিত। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে অনন্য মাত্রা দিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব। সেক্ষেত্রে কোনো সড়ক বা উদ্যান কিংবা অন্য কোনো স্থানের নামকরণ কোরিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে, এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরালো করা হবে।

সাক্ষাতকালে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নানা রকম প্রশিক্ষণ প্রদানেও সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। এছাড়াও বাংলাদেশ-কোরিয়া সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি আরও মজবুত করতে একযোগে কাজ করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকায় কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি লি জাংইয়ল প্রমুখ।

এএসএস/এসএসএইচ/