হকাররা কখন কোথায় বসতে পারবেন জানালেন মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক লাল চিহ্নিত এলাকায় নয়, হকাররা হলুদ এবং সবুজ চিহ্নিত এলাকায় ব্যবসা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদ ডিএসসিসি মেয়রকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে লাল, হলুদ, সবুজ এলাকা চিহ্নিত করে দেব। সবুজে আপনারা নির্দ্বিধায় ২৪ ঘণ্টা ব্যবসা করতে পারবেন। হলুদ চিহ্নিত স্থানে আপনারা নির্ধারিত সময়ে ব্যবসা করতে পারবেন। কিছু কিছু সময় খালি করে দিতে হবে। যেহেতু যানবাহন চলাচল করে, তা মাথায় রেখে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটা নির্ধারিত সময়ের পরে খালি করে দিতে হবে। আপনাদের কেউ উচ্ছেদ করতে আসবে না। এভাবে আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সেগুলো আপনাদের সঙ্গে বসে আমরা ঠিক করব। কিন্তু আপনারা যদি আমাকে না দেখান (লাল চিহ্নিত সড়কে বসা থেকে বিরত থাকা) তাহলে আমিও আপনাদের দেখাতে পারব না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
দুটি সড়ক ইতোমধ্যে লাল চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা মাত্র দুটি সড়ক ও সংলগ্ন এলাকা লাল চিহ্নিত করেছি। একটি হলো বঙ্গভবন থেকে জিরো পয়েন্ট ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে আসাদ পুলিশ বক্স হয়ে জিরো পয়েন্ট। আরেকটি নগর ভবনের সামনের সড়ক, ফিনিক্স সড়ক। এখানে আপনারা বসবেন না।
সুন্দর ঢাকা গড়তে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে শেখ তাপস বলেন, আপনারা সিটি করপোরেশনের অংশীজন। আপনাদের জন্যই সিটি করপোরেশন। সুতরাং সিটি করপোরেশনের নীতিমালা, নির্দেশনা পালন করলে আপনারাই উপকৃত হবেন। সিটি করপোরেশন আপনাদের প্রতিপক্ষ না। আপনাদের সকল দুঃখ, দুর্দশা, কষ্ট লাঘব করার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কিন্তু আমি তখনই আপনাদের উপর আস্থা রাখতে পারব। যখন আপনারা করপোরেশনের নির্দেশনা পালন করবেন।
মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পরে জীবনে কোনো সংবর্ধনা নিইনি। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরেও আমি কোনও সংবর্ধনা নিইনি। আজ প্রথম আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, আপনাদের এ সংবর্ধনা নেওয়ার জন্য। সেজন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, মেয়রের প্রতি আমার একটি অনুরোধ থাকবে, একটি আবেদন থাকবে। হকার ব্যবস্থাপনায় আইন প্রণয়ন করতে হয়ত সময় লাগবে। অন্তত পক্ষে, আপনার আমলে যদি একটি নীতিমালা করে দেন তাহলে হকাররা মাস্তানের অত্যাচার, পুলিশের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে।
বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ভারতের ন্যাশনাল হকার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শক্তিমান ঘোষ প্রমুখ।
এএসএস/এসকেডি