ফুটপাত দখল করে মালামাল রাখায় দোকান বন্ধ করলো ডিএসসিসি
ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে অবৈধ দোকানপাট স্থাপনের মাধ্যমে গাড়ি ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অভিযানে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে মালামাল রাখায় ফকিরাপুলের আনন্দ বাজার এলাকার একটি দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করেছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান রাস্তা ও ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে আনন্দ বাজার এলাকায় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান অবৈধ ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞাপন
করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত আনন্দ বাজার এলাকায় একটি দোকানকে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে তাতে তালা লাগিয়ে দেন। আর কখনও রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে মালামাল রাখা হবে না, করপোরেশন বরাবর এমন মুচলেকা দিলে পরে তাকে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে এ সময় দোকানিকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়াও এ সময় ফুটপাতের নিচ দিয়ে অবৈধভাবে লাইন টেনে পানি বিক্রির করার অপরাধে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন ও পানির অবৈধ লাইন বন্ধ করে দেন। এছাড়া ফুটপাতে অবৈধভাবে অস্থায়ী দোকান স্থাপন করায় ২টি মামলায় ২ ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। অভিযানে জব্দ করা মালামাল উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন আইন, ২০০৯ এর ৯২ এর (৭) ও (৮) ধারায় এসব জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে ফকিরাপুল এলাকার পানির ট্যাংকির উল্টো দিকে ডিআইটি এক্সটেনশন রোডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খানের আদালত ৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গাড়ি ও পথচারী চলাচলে প্রতিনিয়ত নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আনন্দ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রাস্তা ও ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এএসএস/জেডএস