জাল ভিসা নিয়ে গুলশান থানায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অভিযোগ
ভিসা প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— পলাশ চন্দ্ৰ দাস, ওয়াহিদ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম সুমন, মাহবুবুর রহমান খান, মো. আবু জাফর ও মো. আরিফুর রহমান। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি জাল সিল ও তিনটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ভিসা প্রসেসিং প্রতিষ্ঠান মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া ভ্রমণের জাল সিল প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার জন্য মার্কিন দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়। বিষয়টি দূতাবাস কর্মকর্তাদের নজরে এলে গত ১৮ জানুয়ারি গুলশান থানায় আমেরিকা দূতাবাসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তকালে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারদের ভিসা প্রসেসিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে আগ্রহীদের সঙ্গে ১০-১৫ লাখ টাকায় চুক্তি করে ভিসা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয়। আগ্রহীদের সম্মতিতে পাসপোর্টের গুরুত্ব বাড়াতে বিভিন্ন দেশের জাল ভিসা এবং বিভিন্ন দেশের জাল সিল পাসপোর্টে সংযুক্ত করে দেয়। পরে জাল ভিসা সংযুক্ত পাসপোর্ট দিয়ে মার্কিন দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে থাকে। এ ধরনের জাল সিল ও জাল ভিসা পাসপোর্টে সংযুক্ত করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে ডিবির অভিযান অব্যাহত আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। রিমান্ড আবেদন করে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিবি।
এমএসি/এসএসএইচ/