মিয়ামি শহরের মতো বর্জ্যমুক্ত স্মার্ট নগরী গড়তে চায় ডিএনসিসি
বর্জ্যমুক্ত স্মার্ট নগরী গড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সেই লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএলডিপি) আমন্ত্রণে ফ্লোরিডা সফরে রয়েছে ডিএনসিসির একটি প্রতিনিধি দল। ডিএনসিসির এই প্রতিনিধি দলের কাছে ফ্লোরিডার মিয়ামি শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর ভিজ্যুয়্যাল প্রেজেন্টেশন ও তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ডিএনসিসির প্রতিনিধি দলের কাছে মিয়ামির ডেড কাউন্টির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়। ডেড কাউন্টির ডিপার্টমেন্ট অব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মিকেল ফার্নান্দেজ, শেহরা ধুরাম, রোনাল্ড হাওয়ার্ড ও ড্যানি দিয়াজ প্রতিনিধি দলের কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন>>রুট পারমিটবিহীন বাস বন্ধে অভিযান চালাবে ডিএনসিসি
মকবুল হোসাইন জানান, মিয়ামি শহরে প্রায় ২৮ লাখ মানুষের বসবাস। ডিএনসিসির তুলনায় জনসংখ্যা কম হলেও সেখানে প্রায় দ্বিগুণের বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। মিয়ামিতে প্রতিদিন প্রায় ৪২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। আর ডিএনসিসি এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। বিপুল সংখ্যক এই জনগোষ্ঠীর বর্জ্য অপসারণে দুটি পৃথক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারিভাবে মিয়ামি ডেড কাউন্টি বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ড ফিল্ডে নিয়ে পুড়িয়ে ছাই উৎপন্ন করে। আর সেই ভেজা ছাই আশপাশের এলাকাকে বড় বড় টিলায় পরিণত করছে। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় কীভাবে এতো বেশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি করা হয় তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।
বর্জ্য ব্যবস্থায় মিয়ামি শহরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিয়ামি শহরের জনসংখ্যা আমাদের তুলনায় কম। তবে এখানে প্রতিদিন যে বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে তা ডিএনসিসির চাইতে বেশি। বিপুল পরিমাণ এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক মানের। প্রায় ৪০ বছর যাবৎ এই বর্জ্য শোধনাগারে পোড়ানো হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি সর্বশেষ প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাই আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আমিনবাজারে ল্যান্ড ফিল্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>লাউতলা খাল, মোহাম্মদপুরের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করবে ডিএনসিসি
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডিএনসিসিকে গড়ে তোলা হবে। ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতেই মিয়ামি শহরে সরেজমিনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মিয়ামির সিটি ডেভলপমেন্টকে কাজে লাগাতে চাই। মিয়ামিতে যেখানে বর্জ্য শোধন করে পাশেই বড় বড় দুটো টিলা বা পর্বতমালা নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেই বসতি স্থাপন করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়রের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর, ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি, মিতু আক্তার, ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত ড্রেনেজ সার্কেল) আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) খন্দকার মাহবুব আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী অতিরিক্ত দায়িত্ব পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগ তাবাসসুম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ এবং মেয়রের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
এএসএস/কেএ