মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি। সরকারের বিভিন্ন অর্গান আছে, যেখান থেকে ভালো ভালো কাজ করা সম্ভব। এরকম ফেলোশিপ করার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সুযোগ আছে। যেখান থেকে সাংবাদিকদের নিয়ে ট্রেইনআপ করা অথবা তাদের সঙ্গে শেয়ার করার বা আমাদের যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো তাদের সামনে নিয়ে এলে আমরা পারস্পরিকভাবে উপকৃত হতে পারি।

তিনি বলেন, এক লাখ টাকা বা ৭৫ হাজার টাকা কোনো বিষয় না। তবে এটার মধ্য দিয়ে যে স্বীকৃতি দেওয়া হয় তা সাংবাদিকদের কাজকে উৎসাহ দেয়। সেই কাজটি আমাদের বিভিন্ন দপ্তর থেকে হওয়া উচিত।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রাণী সম্পদ এতোটাই বেড়েছে যে রপ্তানি করার মতো পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অনেকেই বিভিন্ন খামার তৈরি করছেন। আসলে তারা নিজেদের বেকারত্ব থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছেন। আমরা যার মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছি। প্রাণিজ আমিষের বড় অংশ দুধ ও মাংস থেকে আসে। সেটা আমরা করতে পেরেছি। গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা সমৃদ্ধ করছি।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদে উৎপাদিত সামগ্রী দেশের উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি মানুষের খাবারের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশাল ভূমিকা রাখছে। তবে আমরা নিউজিল্যান্ড ও ব্রাজিলের মতো অর্গানাইজড ওয়েতে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের প্রথম টার্গেট ছিল উৎপাদন বৃদ্ধি করা। আর এখন টার্গেট হচ্ছে গুণগত মানসম্মত উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ