সম্পর্ককে আরও অর্থবহ করতে একমত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও অর্থবহ করার বিষয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষ ঐক্যমতে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অন্যদিকে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেছেন, গুরত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় দেশটি।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেন-লু ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে উভয়পক্ষ এসব তথ্য জানায়।
বিজ্ঞাপন
আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে ওনার (লু’র) দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা খুব কনস্ট্রাকটিভ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পুরোনো বন্ধু। গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আর আমরা আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চাই। এটা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি।
তিনি বলেন, কীভাবে আমাদের এ সম্পর্ককে আরও অর্থবহ করা যায়, আরও ভালো করতে পারি; সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। মোটামুটি আমরা ঐক্যমতে আছি। আমরা ভবিষ্যতে ভালো দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।
ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা খুব খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমি এখানে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে।যুক্তরাষ্ট্রের একটা কমিটমেন্ট আছে, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার। আমরা যখন সমস্যা দেখি, তখন কথা বলি, পরামর্শ দেই। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলি। আমরা আমাদের গুরত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে চাই।
মোমেন বলেন, আমাদের যে যোগাযোগ এটা খুব কাজের। এর ফলে আমাদের মধ্যে যদি কোনো ধরনের প্রশ্ন থাকে, সেগুলো আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারব। আর আমরা ভালো পরামর্শ পেলে অবশ্যই গ্রহণ করব। তার নমুনাও দেখিয়েছি। আমাদের কোথাও যদি দুর্বলতা থাকে আমরা ওটা নিয়ে কাজ করব।
তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রের মাধ্যমে সরকারে এসেছে। ব্যালটের মাধ্যমে সরকার এসেছে। কখনও বুলেটের মাধ্যমে আসেনি। আমরা অনেকগুলো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছি।
আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র সফর করার জন্য লু’র পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এনআই/কেএ