সম্প্রতি দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অমর একুশে বইমেলা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুক্রবার (১২ মার্চ) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

খালিদ বলেন, এবারের মেলায় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা। মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে এ বিষয়টি নজরদারি করতে। আমরা মেলার প্রতিটি প্রবেশপথে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছি।

করোনার প্রকোপ বাড়ার কারণে বইমেলার করণীয় নিয়ে আগামী ১৫ মার্চ এক সভা ডাকা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে তো মানুষের জীবন, তারপর মেলা।

কে এম খালিদ বলেন, এবার বিশাল পরিসরে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর আট লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এবার আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট থেকে একটি নতুন প্রবেশ পথ তৈরি করেছি। সে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকা সংলগ্ন জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছি। মেলয়া প্রাকৃতিক ঝড়বৃষ্টি থেকে বাঁচতে চারটি আশ্রয় কেন্দ্রও রাখা হয়েছে।

এবারের মেলায় ৫২২টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ। তিনি জানান, সব মিলে মেলায় স্টলের ইউনিট দাঁড়াবে ৮০৮টি। বাংলা একাডেমিসহ মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৩টি। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে লিটল ম্যাগাজিন চত্বর।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ মার্চ থেকে শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা,চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। করোনা মহামারির কারণে এবারই প্রথমবারের মতো পহেলা ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মার্চ থেকে বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এএইচআর/এসকেডি