ইউনিয়ন পরিষদগুলো কার্যকর হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে
দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলো সরকারের সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যকর হওয়ার জন্য বলা হলেও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (১১ মাচ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নাগরিক সম্মেলন-২০২১ ‘গণতান্ত্রিক সুশাসন ও উন্নয়ন: তৃণমূল প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) এর রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি তেরিংসহ সিপিডির অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর মাথাপিছু আয় ছিল ৬৬ ডলার, রিজার্ভ ছিল ১ বিলিয়নেরও কম। ওই সময় উন্নয়ন সহযোগীরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো উন্নয়ন প্রকল্প চাপিয়ে দিত। বক্স কালভার্ট নির্মাণের মতো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন প্রকল্পও তাদের চাপে বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আমরা নিজেদের পছন্দে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারি।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ২ হাজার সালেই সিঙ্গাপুর হয়ে যেত। কারণ দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক বছরের মাথায় মাথাপিছু আয় ও রিজার্ভ দ্বিগুণ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হলে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নয়নশীল দেশ আমরা আরও ২০ বছর আগে হতে পারতাম।
মন্ত্রী জানান, সরকারের একার পক্ষে এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সব শ্রেণির জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে হবে। তাহলে কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। একসময় অনেকে বলতো আমাদের এ দেশে কোনো সম্ভবনা নেই। কিন্তু আজ আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বলছি এদেশের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। আমরা এই সম্ভাবনা ধরেই ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে পোঁছাব।
তিনি আরও জানান, দেশের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই আমরা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। বর্তমানে আমরা সপ্তম শেষ করে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। সুতরাং আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের সবশ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা এসডিজির লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।
এসআর/জেডএস