মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে দুই চাকরি, বাবা-ছেলে আসামি
বাবার মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ ব্যবহারে করে বিশেষ কোটায় সরকারি দুইটি বিভাগে চাকরি নেন আবু সাঈদ মো. নুরে হাবিব। মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ তৈরি করে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে সহকারী পরিচালক পদে দীর্ঘ ৬ বছর চাকরি করেন তিনি।
যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা জাল সনদ তৈরি করায় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রংপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সংস্থাটি সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি দায়েরে করেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার গোবিনন্দপুরে উপজেলার মহিমাগঞ্জ পুনতাইড়ের বাসিন্দা আবু সাঈদ মো. নুরে হাবিব। তার বাবার নাম মো. রায়হানুল হক শাহ। বাবার নামে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ তৈরি করে ২০১১ সালে গোবিন্দগঞ্জের ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেন নুরে হাবিব। ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি করে বেতন-ভাতাবাবদ ৫ লাখ ১৮ হাজার ১৬৮ টাকা আত্মসাৎ করেন।
একইভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে ২০১৫ সালে গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদে চাকরি নেন নুরে হাবিব। জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর পর্যন্ত কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে চাকরি নিয়ে বেতন-ভাতা হিসেবে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৪ টাকা আত্মাসাৎ করেন তিনি।
দুইটি পদ মিলিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে মোট ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ধারায় মামলা দায়ের করে দুদক।
আরএম/কেএ