শিক্ষাই দারিদ্র্যমুক্তির প্রধান হাতিয়ার : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাঠ মুখস্থ করার পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দিতে হবে। কে কী বিষয়ে নতুন কিছু করতে পারে, সেটা আমরা দেখতে চাই। সবার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন : বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিই। কারণ শিক্ষাই দারিদ্র্যমুক্তির প্রধান হাতিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। আমরা জাহাজ বানাব, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্লেনও বানাব। এগুলো তো আমাদের ছেলে-মেয়েদেরই করতে হবে। এ কারণে তাদের জন্য সব ধরনের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী। পারবে না আমাদের ছেলে-মেয়েরা? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলে, ‘পারব’।
বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এতকিছু করার পরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই করিনি।
আরও পড়ুন >>> জিপিএ-৫ তৈরির কারখানা!
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে উল্লখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা যত বেশি এই ছেলে-মেয়েদের গাইড করব, তারা তত বেশি দক্ষ হয়ে উঠবে। তারপরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই হয়নি, কিছুই করিনি। ওই ‘কিছুই করিনি শ্রেণি’ চোখ থাকতেও দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই ‘নাই নাই’ শব্দ ঢুকে আছে। তাদের নাই নাই শুনব না, আমরা সব করব।
তিনি আরও বলেন, শীত পড়ছে, বাচ্চাদের গরম কাপড় পরাতে হবে। শীতে ডেঙ্গু হয়, এটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্কুল-কলেজ, বাড়িঘর, নিজের প্রতিষ্ঠান- এসব নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উভয় মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএসআই/এসএম/জেএস