বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে দ্রুতগতির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত এই মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি)। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করেছে। নিশ্চয়ই আপনি একবার হলেও অত্যাধুনিক এই পরিবহন ব্যবহার করবেন। তাই চলুন জেনে নিই মেট্রোরেলে চড়তে কত টাকা ভাড়া দিতে হবে।

মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। আর ভাড়া নির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেল আইন ২০১৫ এর ধারা ১৭ অনুসারে সরকারের নির্দেশে এমআরটি লাইন-৬ এর যাত্রী প্রতি ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। মেট্রোরেলের পরিচালন ব্যয়, জনগণের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেল বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ২২ অনুসারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্ধারিত সেই ভাড়া অনুযায়ী, প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ৫ টাকা, সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।

মেট্রোরেলের স্টেশন ভিত্তিক ভাড়ার তালিকায় দেখা গেছে, মেট্রোরেলের প্রথম স্টেশন উত্তরা উত্তর থেকে উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের ভাড়া ২০ টাকা; পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা; মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা; শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা; আগারগাঁও ও বিজয় সরণি স্টেশনের ভাড়া ৬০ টাকা; ফার্মগেট ৭০ টাকা; কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ ৮০ টাকা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সচিবালয় ৯০ টাকা এবং মতিঝিল ও কমলাপুর স্টেশনের ভাড়া ১০০ টাকা।

একইভাবে কমলাপুর থেকে মতিঝিল, সচিবালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের ভাড়া ২০ টাকা; শাহবাগ এবং কাওরান বাজার স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা; ফার্মগেট ৪০ টাকা; বিজয় সরণি ও আগারগাঁও ৫০ টাকা; শেওড়াপাড়া ৬০ টাকা; কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের ভাড়া ৭০ টাকা; মিরপুর-১১ ও পল্লবী ৮০ টাকা; উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের ভাড়া ৯০ টাকা এবং উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা উত্তর স্টেশনের ভাড়া ১০০ টাকা।

অন্যদিকে মেট্রোরেলের ভাড়া স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করলে যাত্রীদের ১০ শতাংশ রেয়াত প্রদান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা ভাড়ায় মেট্রোরেলে যাতায়াত এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতিটি সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য বিশেষ রেয়াতের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, যারা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের মেট্রোরেলে কোনো পেমেন্ট করতে হবে না। মেট্রোরেলে মাসিক, সাপ্তাহিক, পারিবারিক কার্ডে ভাড়া দেওয়ার বিশেষ সুবিধা থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রতিবার ভ্রমণে বিশেষ ছাড় পাবেন।

/এমএইচএন/এসএসএইচ/