করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে তিনি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন। তার সহধর্মিণী রাশিদা খানমও এ সময় টিকা নেন।

রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে করোনার টিকা নেওয়া, একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন। 

এর আগে ৪ মার্চ বিকেলে গণভবনে টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) করোনার টিকা নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (২ মার্চ) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও করোনোর টিকা নিয়েছেন।

রাজধানী ঢাকায় ৫০ হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি সহ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করছে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে ২ হাজার ৪০০টি টিম কাজ করছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।

জানা যায়, প্রথম দফায় ৭০ লাখ টিকা এনেছে সরকার। এর মধ্যে ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখ। এরপর দ্বিতীয় চালানে আরও ২০ লাখ টিকা আনা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এইউএ/জেডএস/এমএমজে