শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করায় শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়া আটক/ ছবি- ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির হিফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে তাকে রাঙ্গুনিয়ার সাফরভাটা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। 

ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে শিশুটির মা-বাবাকে রাজিতে চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তারা রাজি না হয় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। 

শিশুটিকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী ইয়াসিন ফরহাদকে মারধরের ঘটনার পরে হাটহাজারী উপজেলার ইউএনও রুহুল আমিনের নেতৃত্ব মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে মাদরাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়ে। 

শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করায় শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে আটক করা হয়েছে/ ছবি- ঢাকা পোস্ট

ইউএনও রুহুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই শিক্ষক ইয়াহিয়াকে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা-মা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিতে চাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন ও আমার পক্ষ থেকে মামলার খরচ চালানোর কথা বললেও তারা তাতে রাজি হয়নি। এমনকি তারা একটি আবেদনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কথা বলেন। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার ইয়ামিনের মা-বাবা তার সঙ্গে দেখা করতে মাদরাসায় যায়। বিকেল ৫টার দিকে ফিরে আসার সময় সেও পেছন পেছন চলে আসে। এরপর শিক্ষক ইয়াহিয়া সেখান থেকে ইয়াসিনকে ধরে এনে পেটাতে শুরু করেন। এমনকি মাদরাসার ভেতরেও শিশুটির ওপর নির্যাতন চালান।

এদিকে ভাইরাল হওয়া ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তা থেকে শিশুটিকে ধরে নিয়ে যান ইয়াহিয়া। পরে মাদরাসার ভেতরে নিয়েও পেটাতে থাকেন। শিশুটির চিৎকারেও তার মন গলেনি। ইয়াহিয়া পেটাতে পেটাতে বলতে থাকেন, আর বের হবি! 

হাফেজ ইয়াহিয়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে। তার শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের পর নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। 

কেএম/এইচকে