চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওমর ফারুক নামে এক আইনজীবীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার ওই আইনজীবী।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-কমিশনার নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুল হক বলেন, ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনজীবী ওমর ফারুক জড়িত—এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকা থেকে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনি যে জড়িত ১৬৪ ধারায় গতকাল আদালতে এ সংক্রান্ত জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফায় চারদিনের রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে আছেন।

সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, ওমর ফারুক পালিয়ে যাওয়া এক জঙ্গির ভগ্নপতি। সে কারণেই তিনি জঙ্গিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। 

গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে আসা চার জঙ্গি পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে লেখক অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।  

ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা হলেন—সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা দুজন জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। 

এরপর তাদের গ্রেপ্তার করতে ঢাকাজুড়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে পুলিশ। পাশাপাশি দেশজুড়ে রেড এলার্ট জারি করা হয়।

এমএসি/কেএ