অটোমেশন সিস্টেম বাস্তবায়নে ওয়াসা কাজ করে যাচ্ছে : এমডি
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে। এটি শিল্পবিপ্লবের একটি ধারাবাহিকতা। আমরাও সেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছি। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যা প্রয়োজন তা হলো, পানি ব্যবস্থাকে পুরো ডিজিটালাইজড বা অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা। এরইমধ্যে ওয়াসার ৮০ শতাংশ কার্যক্রম ডিজিটাইলজেশনের আওতায় চলে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ আয়োজিত 'সুপেয় পানি প্রাপ্তি ও চতুর্থ শিল্প বিল্পব মোকাবিলায় ওয়াসার ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ওয়াসা এমডি বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় এলেন, তখন পুরো পানি ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে বলেন। তখন থেকেই ওয়াসা নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে। ২০০৯ সালের আগে ঢাকা শহরের ৬০ শতাংশ মানুষ পানি পেত, বাকি ৪০ শতাংশ মানুষ পানি পেত না। ২০১৩ সালে এসে আমরা চাহিদার চেয়ে বেশি পানি উত্তোলনে সক্ষম হয়েছি।
তকসিম এ খান বলেন, ঢাকার পানির স্তর ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। সেখান থেকে উত্তরণের উপায় হলো সারফেস ওয়াটারকে ট্রিটমেন্ট করা। কিন্তু সেখানে গিয়েও বিপত্তি। ঢাকার চারপাশে কয়েকটি নদী আছে। কিন্তু সেগুলো এতোটাই দূষিত যে সেটাকে ট্রিটমেন্ট করা যায় না। যা আমাদের দুর্ভাগ্য। ফলে আমাদের পানি আনতে হচ্ছে পদ্মা বা মেঘনা নদী থেকে।
তিনি বলেন, আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দিকেও এগিয়েছি। যেমন কোনো এলাকার পানি যদি দূষিত হয়ে পড়ে, সে সিস্টেম আমাকে জানিয়ে দেবে যে এখানে ট্রিটমেন্ট দিতে হবে। আমাদের ওয়াটার পাম্পগুলো স্ক্যাডারের অধীনে চলে এসেছে। ৯০০ পাম্প এর মধ্যে সাড়ে পাঁচশ পাম্প স্ক্যাডারের অধীনে রয়েছে। আমাদের পরবর্তী ধাপ হলো এন্ট্রারপ্রেনার রিসোর্স প্ল্যানিং। যার মাধ্যমে ওয়াসার সার্বিক কার্যক্রম একদম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ডিজিটালের আওতায় চলে আসবে। এজন্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আশা করছি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।
বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন পানি বিশেষজ্ঞ ড. কাজি মতিন আহমেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, বাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকেুজ্জামান রতন প্রমুখ।
ওএফএ/জেডএস