সন্তানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ২৮ ঘণ্টায়ও হয়নি সরকারি কর্মকর্তার দাফন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে মৃত্যুর প্রায় ২৮ ঘণ্টা পরও দাফন করা সম্ভব হয়নি এক সাবেক সরকারি কর্মকর্তার মরদেহ। ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ নিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
হতভাগ্য ওই ব্যক্তির নাম মনির আহমেদ। তিনি পদ্মা অয়েলে চাকরি করতেন। চাকরি জীবন শেষ করে কয়েক বছর আগে অবসরে যান। এরপর দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত তার মরদেহ দাফন করা সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, মনির আহমেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা ছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠেছে, সেখান থেকে তার বড় মেয়ে ৩০ লাখ টাকা কৌশলে তুলে ফেলেছেন। এমন অভিযোগ তুলে তার স্ত্রী এবং অন্য দুই ছেলে ও দুই মেয়ে মৃত্যুর পর প্রায় ২৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ দাফন করতে দেননি। অর্থের বিষয়টি সমাধান করতে তারা সালিশ বসান। এমন সময় উঠানের এককোণে লাশবাহী গাড়িতে পড়ে থাকে মনিরের মরদেহটি।
এ ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায় কর্ণফুলী থানা পুলিশের একটি দল। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ রোববার ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, টাকার হিসেব না মিললে প্রশাসন এবং স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সোমবার সকাল ৯টায় জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসি দুলাল মাহমুদ বলেছেন, 'শনিবার রাতে মারা যাওয়ার পর রোববার সকালে মনির আহমদের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। টাকার হিসেব না মেলায় তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরা তাকে দাফন করতে দিচ্ছিলেন না। নিহতের এক ছেলে বিদেশে থাকেন। তিনি আসবেন বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন বাকিরা। তবে শেষপর্যন্ত তিনি আসছেন না। এরই মধ্যে রোববার রাতে সিদ্ধান্ত হয় টাকার হিসেব না মিললেও সোমবার সকালে নিহতের মরদেহ দাফন করা হবে।'
মিজানুর রহমান/এমটিআই