ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালন করছেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা। এ উপলক্ষে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছে খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের ছোট বড় সবাই।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) কাকরাইলের সেন্ট মেরি ক্যাথ্রিডাল চার্চে দেখা যায় এমন চিত্র। বড়দিনের প্রার্থনা এবং অন্যান্য রীতি শেষে সবাই মেতে উঠেন ক্রিসমাস উদযাপনে। করোনা মহামারি কাটিয়ে এবারই প্রথম স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিবসটি পালন করছেন তারা।

কথা হয় ড. গৌরি ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত দুবছর করোনার কারণে আমরা কেউই কোনো উৎসব পালন করতে পারিনি। করোনায় আমরা অনেক প্রিয় মানুষদেরও হারিয়েছি। এবারের বড়দিনে একটাই প্রার্থনা, সবাই যেন সুস্থভাবে মিলেমিশে বেঁচে থাকতে পারি।

আরও পড়ুন >>> বড়দিন : অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের দিন 

মনিপুরীপাড়া থেকে আসা মিটিল্ডা ডি কস্তা বলেন, সকাল সকাল প্রার্থনায় এসে ভালো লাগছে। একটাই কামনা, পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক। সবাই যেন ভালোভাবে থাকতে পারি।

বন্ধু-বান্ধবসহ চার্চে এসেছেন শ্রাবন্তী রোজারিও। তিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন পর সবাই একসঙ্গে সমবেত হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। প্রার্থনা শেষ করলাম। বাকি দিন পরিবার, বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাবো।

খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। তাই এ দিনটিকে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মানুসারীরাও আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ও আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করেছেন।

ওএফএ/এমএ