বুড়িগঙ্গা নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পিকআপ ড্রাইভার সাকিবের (২০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোলায়মান ওরফে সিয়াম (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব-২ এর একটি দল শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার সোলায়মান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ইয়াকুব আলীর ছেলে।

র‌্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখমণ্ডল স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে মরদেহটি পিকআপ চালক সাকিবের বলে শনাক্ত করেন ভিকটিমের চাচা।

ওই ঘটনায় চাচা মো. জামাল অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে গত ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব-২ এ ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামি গ্রেপ্তারের উদ্দেশে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

র‌্যাব-২ এর একটি দল এই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মিজানুর রহমানকে গত ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ ডিসেম্বর হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি নাইমুল হোসেন সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সোলায়মান সিয়ামকে গত রাতে পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সোলায়মান হত্যার কথা স্বীকার করেছে দাবি করে এএসপি ফজলুল হক বলেন, গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন সময়ে বছিলা, মোহাম্মদপুর ও রায়েরবাজার এলাকায় সংঘবদ্ধভারে চুরি ও ছিনতাই কাজ করত। তারা লোভে পড়ে অল্পসময়ে অধিক অর্থ আয়ের জন্য ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে সেই ট্রাক, পিকআপ ছিনতাই করে বিক্রির পরিকল্পনা করে।

তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিবের গাড়িটি তারা ভাড়া করে। গন্তব্যে যাওয়ার একপর্যায়ে তারা কৌশলে হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং কালো স্কচটেপ দিয়ে তার মুখ ও মাথা পেঁচিয়ে ফেলে। এরপর রাত ১২টার দিকে তারা সাকিবের মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারদের কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

জেইউ/এসএসএইচ/