অনুমতি ছাড়া বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনে সরকারি কর্মচারীদের বদলি নয়
বিএনপির ছেড়ে দেওয়া জাতীয় সংসদের আসন্ন পাঁচ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার এলাকায় সরকারি কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া বদলি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্দেশনাটি এরইমধ্যে ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। নির্দেশনার অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে উল্লেখ করা হয়েছে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৪৪ই অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী ফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়া ৪৪ই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কর্মকর্তাদেরকে স্ব-স্ব কর্মস্থল হতে বদলি করা যাবে না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের অবশ্য কর্তব্য। নির্বাচনী সময়সূচি জারির পর নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নং আইন) এর ৪(৩) ধারা অনুসারে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী স্বীয় চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে নিয়োজিত আছেন বলে বিবেচিত হবেন।
ওই আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো দায়িত্বপালনের ব্যাপারে বাধা দিতে বা বিরত রাখতে পারবেন না।
বিএনপির ছয় সংসদ সদস্য গত ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে পাঁচ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। একটি সংরক্ষিত মহিলা আসন বিধায় সেটিতে পরে নির্বাচন দেবে ইসি।
এসআর/জেডএস