করোনাভাইরাস মহামারিতে তিন মাস ব্ন্ধ থাকার পর জুনে যখন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়, তখন থেকেই সিটগুলোতে যাত্রী বসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপিত ছিল। সে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। চলতি সপ্তাহ থেকেই নতুন নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে। 

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, নতুন নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ওয়াইড বডি বা বড় সাইজের এয়ারক্রাফটকে আগে সর্বোচ্চ ২৬০ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তারা ৩০০ যাত্রী নিতে পারবে।

আগে ন্যারো বডি বা মাঝারি আকারের এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪০ জন যাত্রী বহন করার নির্দেশনা থাকলেও বর্তমানে তারা বিমানের সব সিট পূর্ণ করে যাত্রী নিতে পারবে।  

বেবিচক চেয়ারম্যান এম. মফিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইটের যাত্রী সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। এই সংখ্যা আগের থেকে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আমরা নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি সার্কুলার জারি করে সিট সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বেবিচক। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর ১৬ জুন থেকে আবারও ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়।

প্রথম দিকে যখন ফ্লাইট চালু হয় তখন এক সিটে যাত্রী বসলে পাশের সিট খালি রাখার বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। তবে ১২ সেপ্টেম্বর সেই নির্দেশনা পরিবর্তন করে সব সিটেই পাশাপাশি যাত্রী বসার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিটি উড়োজাহাজের শেষ দুটি সারির সিট খালি রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। 

এআর/এনএফ/এমএমজে