ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

সুযোগ ও সক্ষমতার সমন্বয়ে নারীদের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, নারীরা নিজেদের যোগ্যতা, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে ও বিভিন্ন পেশায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। গণমাধ্যমেও নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ দৃশ্যমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীদের জন্য আইনি কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক ভীত সন্নিবেশ করেছিলেন।

মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে ‘পাঁচ দশকে বিভিন্ন পেশায় নারীর অগ্রগতি, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান এবং ডিআরইউ নারী সদস্যদের পত্রিকা ‘কন্ঠস্বর’-এর বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী সংসদ সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসন পঞ্চাশে উন্নীত করেছেন। বর্তমানে ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি নির্বাচিত। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস, মায়ের মাধ্যমে সন্তানের নিকট নাগরিকত্ব প্রদানসহ নারী উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারী সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এবং এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। করোনাকালীন সংকটময় সময়ে প্রধানমন্ত্রী নারীদের জন্য যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তা নারী উদ্যোক্তাদের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, নারীদের এগিয়ে নিতে হলে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ জরুরি। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করতে হবে। কেননা, কোভিড-১৯ পরিস্থিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেলেও, এ সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে তাদের অবদান ছিল লক্ষণীয়।

অনুষ্ঠানে মাহমুদা চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন, শাহনাজ বেগ নাদিরা কিরণ, শারমিন রিনভী ও আঙুর নাহার মন্টিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এবং ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রীতা নাহার। 

এইউএ/এসকেডি