গতকাল সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আকাশে অদ্ভূত এক আলোকরশ্মি দেখা যায়। আলোকরশ্মির সূত্র কোথা থেকে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।  

সন্ধ্যার পরপরই ফেসবুকে অনেকে ওই আলোকরশ্মির ছবি দিয়ে জানাতে থাকেন অদ্ভূত কিছু একটা দেখেছেন তারা। একই অবস্থা হয়েছে ভারতেও। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা থেকে দেখা গেছে এই আলোকরশ্মি। 

আলোর উৎস নিয়ে সেখানেও চলেছে নানা গুঞ্জন। বাংলাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কেউ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেনি কোথা থেকে আসছিল ওই আলো।  

তবে ওই আলোর সম্ভাব্য একটি সূত্রের তথ্য এসেছে কলকাতার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে। গতকাল নিজেদের তৈরি দূরপাল্লার পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি ৫—এর সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। 

ভারতের বিশেষজ্ঞদের মতে, রহস্যময় ওই আলোর সঙ্গে এই মিসাইল পরীক্ষার যোগ থাকতে পারে। 

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাফল্যের সঙ্গে নাইট ট্রায়াল (রাতের অন্ধকারে পরীক্ষা) শেষ করেছে অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র, যার পাল্লা ৫০০০ কিলোমিটারের বেশি। অন্ধকারেও শত্রুকে সঠিকভাবে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্রটি এগিয়ে যেতে পারে কি না, সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এদিন।  

আকাশে প্রায় তিন মিনিট মতো ওই আলো দেখার কথা জানান অনেকে। কেউ কেউ এটিকে উল্কাপাতের আলো বলেও মনে করেন। কারণ, গতকাল রাতে প্রতিঘণ্টায় ১২০টি উল্কা আতশবাজির মতো খসে পড়বে বলে আগেই খবর এসেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। 

তবে ভারতের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ দেবীপ্রসাদ দুয়ারী বলছেন, এটি উল্কাপাতের আলো হওয়া সম্ভব নয়। 

জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, এটা কোনো স্যাটেলাইটের কিউব বা খণ্ডাংশ হতে পারে, যা ১০ থেকে ১২ গ্রাম ওজনের হবে। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এটি পৃথিবীর দিকে নেমে আসছে। যত কাছে এসেছে ততই এর গতি বেড়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এখন উল্কাবৃ্ষ্টি হচ্ছে, তবে সেটা রাত ১২টা নাগাদ হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে আলোর আকার কিছুটা বড়। এটা যে উল্কাবৃষ্টি নয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত। 

এনএফ