আমান উল্লাহ ওরফে মানিক (২৯) নিজেকে পরিচয় দিতেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে। এরপর নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আদায় করতেন টাকা। অবশেষে র‍্যাবেরই একটি টিমের হাতে আটক হলেন তিনি।  

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে আজ (বুধবার) দুপুর ১টার দিকে জানিয়েছেন র‍্যাব। মান উল্লাহ ভূজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সিংহরিয়া দক্ষিণ ভূইয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর মামলা সংক্রান্ত কাজে চট্টগ্রাম আদালতে যান এক নারী। এ সময় তার সঙ্গে আমানের দেখা হয়। ওই সময় আমান নিজেকে র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেন। এরপর ওই নারীকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তার পক্ষে এনে দেবে বলে কথা দেন। এছাড়াও ওই নারীর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে র‍্যাবের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট বের করে দেবে বলে আশ্বস্ত করেন। এসব কাজের বিনিময়ে আমান এক লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর আমানের কথায় বিশ্বাস করে ওই নারী তাকে দুই দফায় মোট ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা দেন।

কিছুদিন পর মামলার বিষয় জানতে আমানকে ফোন দেন ওই নারী। এ সময় আমান আরও ২০ হাজার টাকা দিতে বলেন। পরে ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমানকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‍্যাব।  মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ভূজপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।  

চট্টগ্রাম র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব পরিচয়ে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমান। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় একটি মানবপাচারের মামলা রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ভূজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

মিজানুর রহমান/এনএফ