পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং তার সরকার শুধু জনগণের ওপর নির্ভরশীল। কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ অথবা দেশীয় ষড়যন্ত্র আমাদের বিপথে নিতে পারবে না।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট : মানবাধিকার প্রচার ও সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনার এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। সরকার ভোটের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী। আমরা ভোটের অধিকার রক্ষায়ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিচ্ছে। বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকারের চর্চা করে আসছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রসার ঘটানো আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এটি করছি এবং করতে থাকব। আমরা মানবাধিকার চর্চা করে আসছি। অথচ অন্যরা আমাদের এখন শেখাতে আসে। বর্তমান সরকার মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এসময় মন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি গণতন্ত্র ব্যবস্থার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কেউই সঠিক নয়। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশও সঠিক নয়। কিছু দুর্বলতা বাংলাদেশেরও আছে, তাই সরকার সেসব ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে।

প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, অবাধ ও উন্মুক্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি ফোকাস করছে সরকার। এ লক্ষ্যে অনেক উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হান্নান ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির।

এনআই/এসএসএইচ/