ইউপি নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের আহ্বান
প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি’র জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ আহ্বান জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৩ মার্চ নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রথম ধাপের এই ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০১৭ এর ৭.১.ক ধারা মতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১২ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে কোন নির্বাচনী এলাকা বা এলাকাগুলোতে কেন্দ্রীয় বা স্থানীয়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইচ্ছুক, তা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করার বিধান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আদেশে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইচ্ছুক নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে আগামী ১২ মার্চের মধ্যে নিজস্ব প্যাডে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে এলাকাভিত্তিক পর্যবেক্ষকদের তালিকার (পর্যবেক্ষকদের নাম ও এনআইডি নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে) হার্ডকপি (বাধ্যতামূলক) ও সফট কপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখায় জমাদানের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯-এর ২৯ (৩) এ বলা আছে, ‘পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ঐ পরিষদের জন্য পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’ অর্থাৎ চলতি মাসের ২১ মার্চের আগেই প্রথমধাপের ইউপি নির্বাচন আয়োজন সম্পন্ন করার কথা ছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় যথাসময়ে ভোট হচ্ছে না। এজন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ২৯ (৫) ধারা প্রয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
ধারায় বলা আছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারবে।’ অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন ২১ মার্চের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ইউপির ভোট করবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫৫টি ইউপি নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছিল। ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপির মধ্যে ৪ হাজার ১০০ মতো ইউপিতে ভোট করা যাবে। ২০০ ইউপিতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত নয়বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চলতি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দশম ইউপি নির্বাচন।
এসআর/জেডএস