নির্ধারিত ২৮ দিনের বেশি সময় ধরে ই-নামজারি মামলা বা আবেদনগুলো অনিষ্পন্ন থাকার কারণ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কালেক্টরদের (জেলা প্রশাসক) চিঠি পাঠিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কালেক্টরদের কাছে পাঠানো হয়। 

যেসব উপজেলা কিংবা সার্কেল ভূমি অফিসে নামজারিতে ২৮ দিনের অধিক সময় লাগছে, সেখানকার দায়িত্বরত সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) থেকে ব্যাখ্যা সংগ্রহ করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরকে বলা হয়েছে।

ব্যাখা পাওয়ার পর (সাধারণ আবেদন) নিয়ম অনুযায়ী ২৮ দিনের মধ্যে ই-নামজারি নিশ্চিত করার জন্য প্রযোজ্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে, তা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

জাতীয় ভূমি সেবা কাঠামো www.land.gov.bd গিয়ে ই-নামজারি ট্যাবে ক্লিক করলেই গত ৯০ দিনের জাতীয়, বিভাগ ও জেলাওয়ারী ই-নামজারি আবেদনের সংখ্যা, মঞ্জুরের হার ও গড় নিষ্পত্তি দেখা যায়। এছাড়া নিজ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখার সুযোগ রেয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ই-নামজারি ব্যবস্থার জন্য মর্যাদাপূর্ণর ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করেছে।

এর আগে, আবেদনকারীকে আত্মপক্ষের সুযোগ না দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরাসরি নামাজারি আবেদন নামঞ্জুর (বাতিল) না করতে সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্দেশনা দিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর পরিপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়। 

ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান সই করা পরিপত্রটিতে সাতদিনের মধ্যে উপজেলা/সার্কেল ভূমি অফিসে নামজারি বিষয়ক প্রতিবেদন পাঠানোর জন্যও ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৮ দিনের মধ্যে নামজারি নিষ্পত্তি সহজ করার জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে নামজারি কার্যক্রমে ওয়ারিশ সনদ ‘প্রত্যয়ন সিস্টেম’ থেকে নেওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যয়ন সিস্টেমের সঙ্গে নামাজারি সিস্টেমের আন্তঃসংযোগ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আপাতত ব্যক্তির মৃত্যুর পর ইস্যু করা ওয়ারিশ সনদের মেয়াদ উন্মুক্ত রাখার বিষয়েও পরিপত্রটিতে বলা হয়।

এসএইচআর/কেএ