রাজধানীর বকশিবাজার এলাকার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব মাঠ দখল করা হচ্ছে এমন অভিযোগে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। 

আজ (বুধবার) বেলা ১১টা থেকে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার খেলার মাঠে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এ সময় তাদের ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এই মাঠ আমাদের, এই মাঠ আলিয়ার’, ‘মাঠ চাই, মাঠ চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসা প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে একের পর এক সম্পদ হারাতে হচ্ছে  প্রতিষ্ঠানটিকে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের দখলদারিত্বের ফলে দিন দিন কমে আসছে আলিয়া মাদ্রাসার সম্পদের পরিমাণ। এখন আলিয়া মাদ্রাসার বড় খেলার মাঠটিও দখল হওয়ার মুখে। 

তারা বলেন, এটি সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব মাঠ। তবুও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সরকারি বকশীবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নামে উদ্বোধন করতে চাচ্ছে। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমরা মানতে পারছি না। একটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাঠ কেন অন্য নামে উদ্বোধন করতে হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। অবিলম্বে  এই সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদি মাঠের উদ্বোধন করতেই হয় তবে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব নামে উদ্বোধন করতে হবে।  

মাহমুদুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, মাদ্রাসা প্রশাসনের সাথে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই একটি মাঠ কিভাবে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের একক সিদ্ধান্তে নামকরণ করে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটি বোধগম্য নয়। ঢাকা আলিয়ার মাঠ কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। সকাল থেকেই আমরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। দখলের চেষ্টা করা হলে আমরা রুখে দাঁড়াবো। এছাড়াও সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং মেয়রের আগমন দুই বিষয়কে সামনে রেখে জোরদার করা হয়েছে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের চকবাজার জোনের এডিসি মো. শফিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট চকবাজার থানার পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে দিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। 

আরএইচটি/এনএফ