ইনসেটে নিহত শাতিল

রাজধানীর বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. শাতিল (১৯) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শোয়েব (১৯) নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। 

নিহত শাতিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী (বিএন) কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত শোয়েব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

নিহতের বাবা মনিরুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা পোস্ট কে বলেন, আমার ছেলে আনুমানিক আটটার দিকে ডিআইটি প্রজেক্ট এর ১৩ নাম্বার রোডে শোয়েব ও রুপম সহ তিনজনে মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ রকি সহ ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, তারা আমার ছেলেকে কি কারণে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারি না।

নিহত শাতিলের মা আফরোজা বেগম বলেন, আমার ছেলে বাহির থেকে বাসায় এসে খাওয়া -দাওয়া করার জন্য গোসল করে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা চলছিল। খেলা দেখার সময় রুপম ও রকি বারবার তাকে ফোন দিয়ে বাহিরে যাওয়ার জন্য বলছিল। বাসায় খাওয়া-দাওয়া করে দ্রুত বের হয়ে যায় সে। এরপর খবর পেলাম আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে তারা হত্যা করেছে এই হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলে যদি বাহিরে না যেত, তাহলে আমার ছেলে আজকে নিথর দেহে পড়ে থাকত না। 

আফরোজা বেগম জানান, তারা বাড্ডার মেরুল বাড্ডা ১১ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসায় থাকেন। তাদের বাড়ি ঢাকার দোহারের জয়পাড়া এলাকায়। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। শাতিল ছিল সবার মধ্যে বড়।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছি এবং একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি আমরা এখনো পুরোপুরি জানতে পারিনি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এসএএ/এসকেডি/আরএআর