শূন্য পদে পদায়নের যোগ্যতা থাকতে হবে : ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের পদায়নের ক্ষেত্রে পদ শূন্য থাকার পাশাপাশি যোগ্যতাও থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তাহলে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। এর আগে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে প্রেষণে পদায়নের পরিববর্তের শূন্য পদ পূরণ ও পদোন্নতির মাধ্যমে পদায়নের দাবি তোলা হয়।
বিজ্ঞাপন
জাহাংগীর আলম বলেন, বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আছে। তারা একটি মিটিং করেছে। সেই মিটিংয়ে যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলো আমাদের অবহিত করেছেন। সেটা নির্বাচন কমিশনকেও বলেছেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগকেও তারা পর্যায়ক্রমে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, তাদের যে শূন্য পদ সেগুলো পূরণ করা। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, যে পদগুলো শূন্য রয়েছে; যারা যোগ্যতা অর্জন করবেন তাদের চাকরিবিধি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিশ্চই পদোন্নতি এবং শূন্য পদ পূরণে অবশ্যই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এটি যৌক্তিক কথা।
তবে এক্ষেত্রে দুটো বিষয় আপনাদের আমি জানাবো। প্রথমত হচ্ছে পদ শূন্য থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, যোগ্যতা থাকতে হবে। এ দুটো বিষয় বিবেচনা করে আমরা অবশ্যই কমিশনের মাধ্যমে তাদের পদোন্নতি বা শূন্য পদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নেব।
ইসি সচিব বলেন, ইভিএমের লজিস্টিকসহ বিভিন্ন বিষয়ক দৃশ্যমান করার কথাও বলেছেন তারা। এজন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন এটি একনেকে উঠবে। তারপর তারা যেটা অনুমোদন দেবে তখন বলা যাবে। একনেকের অনুমোদনের আগে কোনো কিছু বলাই যৌক্তিক হবে না। এটা আমাদেরই প্রকল্প। যখন একনেক থেকে এটি অনুমোদন হবে, তখনই আমরা বলতে পারব আমাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তারা কী দিল, আর কী দিল না।
এছাড়া যে বিষয়টি তারা বলেছেন, সাংগঠনিক কাঠামোয় অনেক পদ সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু সেটা সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এজন্য যে কমিটি আছে সেখানে আলোচনা হয়েছে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবে। মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে এটি যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরে সামারি অ্যাপ্রুভাল হলে পদগুলোর অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং সময় সাপেক্ষ।
৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবিগুলো না মানলে কালোব্যাচ ধারণ, কর্মবিরতীতে যাওয়াসহ নানা কর্মসূচি দেবেন কর্মকর্তারা, দাবিগুলো পূরণ করা সম্ভব কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আরও বলেন, রোববারের মধ্যে, এটা যারা দাবি করেছে তারাই বলতে পারবেন। তাদেরই জিজ্ঞেস করুন রোববারের মধ্যে এটা সম্ভব কি না। আমি আগেই বলেছি, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, পদগুলো যখন যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে সেখানে বলা আছে প্রেষণ অথবা পদোন্নতি। যতক্ষণ পর্যন্ত পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা না পাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেষণে থাকবে। পদ সৃজনই তো হয়েছে ওইভাবে। সুতরাং পদ সৃজনের বাইরে তো কেউ কিছু করছে না। তাদের দাবিগুলোর কিছু কিছু বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, আমার কাজই হচ্ছে তাদের যে যৌক্তিক দাবিগুলো, সেগুলো সংশ্লিষ্ট জায়গায় উপস্থাপন করা এবং বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। অবশ্যই তাদের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসআর/এসএম