রিজার্ভ নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকায় ‘তাজ্জব’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের রিজার্ভ নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) মাঝে-মধ্যে উল্টাপাল্টা বলেন, আমাদের রিজার্ভ নাই। আমি তাজ্জব হই।’
রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে স্লিপ অ্যাপনিয়া (ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার রোগ) বিষয়ক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন উষ্মা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
জাপানের কাছে বাংলাদেশ বাজেট ঋণ চেয়েছে কি না, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘এসব আমি জানি না। এগুলো আপনারই জানেন। আমাদের কোনো প্রয়োজন নাই। উই আর ভেরি সলিড ইকোনোমি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা মাঝে-মধ্যে উল্টাপাল্টা বলেন, আমাদের রিজার্ভ নাই। আমি তাজ্জব হই। আগে আমাদের তিন থেকে চার বিলিয়ন রিজার্ভ হলে আপনারা খুশি থাকতেন। আর এখন ৩৪ থেকে ৩৭ বিলিয়ন রিজার্ভ, তারপরও আপনারা বলেন। এগুলো পাগলের প্রলাপ না হয় তো কী।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে মোমেন বলেন, আপনি (গণমাধ্যম) বলেন ব্যাংকে টাকা নাই। আমার ট্রিলিয়ন টাকা ব্যাংকে আছে। আপনারা বিভিন্ন রকমের প্রপাগান্ডা করেন ব্যাংকে টাকা নাই। বাড়িতে নিয়ে রাখেন, তখন চুরি করতে পারবে।
গত শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত রিজার্ভ কত, তা প্রথমবারের মতো স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেছেন, দেশের রিজার্ভ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। দেশে ২৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে, যা দিয়ে চলবে ছয় মাস।
মেহেরপুরের মুজিবনগরে আইএফআইসি ব্যাংকের ১০০০তম উপশাখা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন সালমান এফ রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
তিনি বলেন, আমি দেখি, কেউ কেউ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। রিজার্ভের কোনো সমস্যা নাই। অনেকে বলে ব্যাংকে টাকা নাই, কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তোলে। ব্যাংকের টাকা তুলে ঘরে রাখলে তো চোরে নিয়ে যাবে। চোরের জন্য সুযোগ করে দেওয়া। ব্যাংকে টাকা নেই এ কথাটা মিথ্যা।
এনআই/এসএম