ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এমআরটি লাইন-৬ এর উদ্বোধন করবেন।

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, উদ্বোধনের কোনো তারিখ আমি এখনো পাইনি। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ প্রস্তাব করে এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি, সেই প্রস্তাব অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেবেন। ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে নেই। কারণ ওইদিন অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে। তাই ওইদিন মেট্রোরেল উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডিএমটিসিএলের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আগামী বছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এমআরটি লাইন-১ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পাতাল রেলপথের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আপনারা জানেন ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করা হবে। প্রতিটি প্যাকেজের বিভিন্ন অংশে কাজ করছি আমরা। আর কিছুদিন পর বলতে পারব কবে টিভিএম মেশিনের মাধ্যমে আন্ডারগ্রাউন্ড-এর কাজ শুরু করতে পারব।

তিনি বলেন, আমাদের কয়েকটি জায়গায় ৩০ মিটার আবার কয়েকটি জায়গায় ৭০ মিটার নিচ দিয়ে পাতাল রেলপথ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যাবে। নিচ দিয়ে যখন টিভিএম মেশিন মাটি কেটে কেটে কাজ করে এগিয়ে যাবে, তখন উপর থেকে কোনোভাবেই বোঝা যাবে না নিচে কাজ চলছে। কিন্তু এই পথে ১২টি স্টেশন আছে, যেগুলো ওপেন কাট পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে। এই ১২টি স্টেশন ওপেন কাট পদ্ধতিতে কাজ শেষ করে নিচে চলে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগবে। এই ছয় মাস সময় রাস্তার অর্ধেক অংশ চালু থাকবে। বাকি অংশে আমরা কাজ করব এবং পরে আবার সেই অংশ ভরাট করে দেওয়া হবে। যেখানে আমাদের স্টেশন আছে সেখানে সর্বোচ্চ ছয় মাস ট্রাফিক ডাইভারশন করতে হতে পারে। তবে অন্য কোনো জায়গায় ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা অন্তত ৩০ মিটার নিচ দিয়ে কাজ করব। বাংলাদেশের কোনো ইউটিলিটি লাইন এত নিচ দিয়ে নেই। যার ফলে পুরো রুট অ্যালাইনমেন্টে আমাদের কোনো ইউটিলিটি লাইন সরানোর প্রয়োজন পড়বে না। শুধু স্টেশন এলাকায় এটি প্রয়োজন পড়বে। সেখানে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব এবং সেই এলাকায় যে ইউটিলিটি লাইনগুলো যেভাবে আছে ঠিক সেভাবে রেখে আমরা নিচে চলে যাব।

মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া মওকুফ থাকবে।

এমএইচএন/জেডএস