প্রাথমিকে ৪৫ হাজার নিয়োগের কথা বলে পদসংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ সময় তাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে দেখা গেছে। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে একই দাবি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে টানা দুই দিন মানববন্ধন করেছেন তারা। তবে চাকরিপ্রত্যাশীদের লিখিত দাবি প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রী বরাবর দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় মানববন্ধনে প্রায় তিনশতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী এ আন্দোলনে অংশ নেয়।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হলে তারা জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিলেও আমাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের কয়েকজনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিলেও পরে তা ফেরত দেয়। পরবর্তীতে আমরা প্রেস ক্লাবের সামনে আবার মানববন্ধন করি। আমাদের দাবি না মানা হলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। 

তারা আরও জানান, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত যৌক্তিক। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব এর আগে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘অনুমোদনকৃত পদ ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও করোনার ২ বছরে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকায় ৫৮ হাজারের মতো চলমান নিয়োগ থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কিছু বিবৃতিতেও পদ সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গত শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরাতে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা পদসংখ্যা বৃদ্ধির বিপক্ষে, তাই পদসংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে এসেছেন।

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, এই সিদ্ধান্ত করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক, কারণ এযাবতকাল সাধারণত প্রতি নিয়োগে প্রতি ৩ জন মৌখিক প্রার্থী থেকে ১ জন আনুপাতিক হারে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হতো এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অধিকাংশ নিয়োগ প্রার্থীরই বয়সসীমা শেষ হয়ে গিয়েছে বা শেষ হওয়ার পথে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলাই আছে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাহলে কেন এই ১০/১৫ হাজার অবসরজনিত শূন্য পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে না। এ কারণে আমরা পদসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পিইডিপি-৪ এর লক্ষ্যমাত্রার পূর্ণতা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

এমএম/এমএ