নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৭ মার্চ) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে বাসে অবস্থিত দুটি ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এসময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ এ জাদুঘরের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিসংগ্রামের সঠিক তথ্য জানতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বাস’-এর এই উদ্যোগ আমরা এবারই প্রথম নিয়েছি। এই বাসে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য থাকবে। জাদুঘর বাস শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশেই চলবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ’ প্রকল্পের অধীনে ভ্রাম্যমাণ এই জাদুঘর চালু করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো ‘বিতর্ক বা প্রশ্ন নেই, তাদের তালিকা আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করা হবে। যাচাই-বাছাইয়ে যারা টিকেনি বা মনে করেছেন যে ন্যায়বিচার পাননি, সংক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা আপিল করেছেন, সেই আপিল নিষ্পত্তি হতে একটু সময় লাগবে। ওই নিষ্পত্তিতে যদি কেউ প্রমাণ হন যে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, পরে তারা সংযুক্ত হবেন।'

রাজাকারদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, তালিকা প্রণয়নে আমাদের নৈতিক অধিকার ছিল, আইনগত ভিত্তি ছিল না। ইতোমধ্যে কেবিনেটে জামুকাকে তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়ে আইন সংশোধন হয়েছে। করোনার কারণে সংসদ অধিবেশন কম হওয়ায় তা উত্থাপিত হয়নি।

একাত্তর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অবিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আগামী ২৬ মার্চ প্রকাশ করা হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে। এছাড়া এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরের বিজয় দিবসের কয়েক মাস আগেই রাজাকারদের সংশোধিত পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ শেষ করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

পিএসডি/এসএসএইচ