৪৫ হাজার নিয়োগের কথা বলে পদসংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছে চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ সময় চাকরিপ্রত্যাশীদের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সামনে এ কর্মসূচি পালন করে চাকরি প্রত্যাশীরা।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হলে তারা জানান, আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের সব কথা শুনেছেন। তবে পদ বৃদ্ধিজনিত কোনো বিষয়ে তাদের এখতিয়ার নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। আমাদের স্মারক লিপি গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে ইতিবাচক ফলাফল না পাওয়ায় আগামীকাল সকাল ৯টায় সচিবালয়ের সামনে মানববন্ধন করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  

তারা আরও জানান, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত যৌক্তিক। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘অনুমোদনকৃত পদ ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও করোনার ২ বছরে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকায় ৫৮ হাজারের মতো চলমান নিয়োগ থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কিছু বিবৃতিতেও পদ সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গত শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরাতে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা পদসংখ্যা বৃদ্ধির বিপক্ষে, তাই পদসংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে এসেছেন।

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, এই সিদ্ধান্ত করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক, কারণ এযাবতকাল সাধারণত প্রতি নিয়োগে প্রতি ৩ জন মৌখিক প্রার্থী থেকে ১ জন আনুপাতিক হারে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হতো এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অধিকাংশ নিয়োগ প্রার্থীরই বয়সসীমা শেষ হয়ে গিয়েছে বা শেষ হওয়ার পথে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলাই আছে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাহলে কেন এই ১০/১৫ হাজার অবসরজনিত শূন্য পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে না। এ কারণে আমরা পদসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পিইডিপি-৪ এর লক্ষ্যমাত্রার পূর্ণতা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

এমএম/এমএ