ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
 
রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 
তিনি বলেন, দুইজন জঙ্গিকে কয়েকজন জঙ্গি এসে পুলিশকে আক্রমণ করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্ত আমরা একটি মামলা করেছি। আদালতের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ইতোমধ্যে যারা পালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা ও শনাক্তের জন্য কাজ শুরু হয়ে গেছে। যারা ছিনতাই করতে এসেছিল তাদের সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো। পালাতে অক্ষম সবুর ও আরাফাত পরিকল্পনার অংশ ছিল। তাদেরসহ বিশ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।

গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবের নাম রয়েছে।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত এবং ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এনআর/এমএ