রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর
জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলাপ করতে চায় ঢাকা
আগামী ২২ নভেম্বর ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের। তার সফরে দেশটির সঙ্গে জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেখছে ঢাকা।
রোববার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে ‘আফ্রিকায় নজর : বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিশ্চিত কি না- জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে নিশ্চিত বার্তা না দিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা তো ওনাকে দাওয়াত দিয়েছি। তার আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও অনেকগুলো দিন বাকি। এখন পর্যন্ত ওনার আসার সম্ভাবনা আছে। আইওআরএ-তারা প্রথবারের মতো অবজারভার স্টেট হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।
স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর হতে যাচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জ্বালানি সংকটে আছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ল্যাভরভের সফরে জ্বালানি ইস্যু বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রাশিয়াতো বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে ইনটেনসিভ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সুতরাং এলে অবশ্যই আলোচনা হবে। তার মধ্যে বর্তমান যে পরিস্থিতি জ্বালানি সংকট সমাধানে কোনো রকমের সম্ভাবনা আছে কি না, সেটা আলোচনা এবং খাদ্য সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে এবং সেখানে আমাদের যে দ্বিপাক্ষক বিষয়গুলো আছে, সেগুলো আলোচনা করার সুযোগ হবে। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের পাইপলাইনে যেসব প্রজেক্ট আছে যেমন-রূপপুর একটা বড় ইনভলমেন্ট আছে তাদের; সেগুলো যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের পক্ষ যেসব অগ্রাধিকার আছে, চ্যালেঞ্জ আছে; সেগুলো আরও স্পষ্ট করে বলতে পারব। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আমরা রাশিয়াকে আরও কাছে পেতে চাই, বক্তব্যে যোগ করেন তিনি।
রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সেটা আসার পর বোঝা যাবে। এখন যে পোলারাইজেশন চলছে সেটা তো আছেই। সেটা বলা বাহুল্য। তারপরও তাদের সঙ্গে যে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক আছে, সেটার আলোকে আমরা তাকে স্বাগত জানাব। মূলত তাদের আইওআরএ যোগ দেওয়াটা বড় বিষয়। এটাতে রাশিয়া থেকে যদি কোনো কার্যক্রম থাকে, সেগুলো আমরা শুনব।
এনআই/জেডএস