ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের দু’দিন পর মামলা, বান্ধবী বুশরাও আসামি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে রাজধানীর রামপুরা থানায়। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌফিকা ইয়াসমিন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৩টায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ফারদিনের বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ আরও কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
• আরও পড়ুন : ‘পরিকল্পিত হত্যা’ নাকি অন্য কারণ : তদন্তে মাঠে পুলিশ-র্যাব
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ ফরহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ময়নাতদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি, তার মাথায় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে সেই আঘাত কোনো ধারালো অস্ত্রের নয়। আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশের চাহিদা ও অধিকতর তথ্যের জন্য তথ্য উপাত্ত ও আলামত মহাখালি ভিসিআরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে তাকে কীভাবে মারা হয়েছে।
• আরও পড়ুন : লাশ হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলেন ফারদিন, জানাজা সম্পন্ন
ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা ৮ নভেম্বর বলেছিলেন, দেশের তিনটি শীর্ষ বিদ্যাপিঠে সুযোগ পাওয়ার পর সে বুয়েটে ভর্তি হয়। তবে আবাসিক হলের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সে হলে যেতে চায়নি। ফারদিন বাসায় থেকেই তার পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার করুন।
এমএসি/এনএফ