ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির (সমীক্ষা যাচাই) প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। বুধবার (৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ইনভেসমেন্ট প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করতে হয়। এটা ইনভেসমেন্ট (ইভিএম প্রকল্প) প্রকল্প না। ইভিএমের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির তেমন কিছু নেই। ন্যাচারটাই ভিন্ন। বিভিন্ন নির্বাচনে আগের কেনা দেড় লাখ ইভিএম এখন পুরোদমে ব্যবহার করছি। এখানে সেটিই বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির প্রয়োজন নাই।

বাজার যাচাই না করেই ইভিএমের কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে জিনিসের একটাই মাত্র সোর্স সে জিনিসের বাজার দর যাচাই করার সুযোগ নাই। ইভিএমের সোর্স বাংলাদেশ মেশিন ট্যুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজেট কমে গেলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে না। কমে যাবে। এছাড়া আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হলেও ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই লাখ ইভিএম কেনার লক্ষ্যে নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে ইসি। ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ওই প্রকল্প প্রস্তাবটিতে ইভিএম প্রতি দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা।

চলমান ইভিএম প্রকল্পটি ২০১৮ সালে নেওয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দেড় লাখ ইভিএম কেনার লক্ষ্যে ওই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে ইভিএম প্রতি দাম ধরা হয়েছিল দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকার। সে সময়ও বিএমটিএফ এর কাছ থেকে ভোট যন্ত্রটি কিনেছিল ইসি।

এসআর/এসএম