ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ বন্ধে বিপাকে যাত্রীরা
ঢাকা-বরিশাল রুটে গণপরিবহনের পাশাপাশি লঞ্চ চলাচল বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছেন হাজারো যাত্রী। তাদের কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে দমন করার নামে এভাবে আমাদের মতো সাধারণ লোকদের ভোগান্তিতে ফেলার কোনো মানে হয় না!
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় বরিশালগামী যাত্রী রহিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছেলের ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে গত সপ্তাহে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ায় বাড়ি যেতেই হবে তাকে। ঢাকার কোথাও থাকবেন সে রকমের পরিচিতও কেউ নেই। কিন্তু গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ দেখে বিপাকে পড়েন তিনি।
কুমিল্লা থেকে বরিশালগামী আরেক যাত্রী আফিকুল ইসলাম বলেন, এভাবে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কোনো মানে হয় না। পূর্বঘোষিত কোনো কারণ ছাড়াই এভাবে গণপরিবহন ও লঞ্চ বন্ধ করে হাজারো যাত্রীভোগান্তি আসলেই দুঃখজনক।
লঞ্চ বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, (হেসে) আপনি সাংবাদিক? বুঝেন না লঞ্চ কেন বন্ধ?
এরপর তিনি প্রতিবেদককে সুন্দরবন নেভিগেশনের সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান রিন্টুর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) কন্ট্রোল রুমের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, আপনারা তো জানেনই কেন বন্ধ আছে। এসব নিয়ে আমরা কথা বলতে পারবো না, আমাদের বড় স্যার কথা বলবেন।
ঢাকা-ঝালকাঠি লঞ্চ বন্ধের কোনো কারণ জানেন না বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক শহিদুল্লাহ্। তিনি বলেন, এই রুটে লঞ্চ বন্ধ রাখার বিষয়ে লঞ্চের মালিকরা আমাদের আগে থেকে কিছুই জানায়নি। কোনো হরতালও ছিল না। গতকালও এই রুটে স্বাভাবিকভাবে লঞ্চ চলেছে।
এমএল/এমএ