তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করার সময় নারায়ণগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত মো. অমিত হাসান অনিক (২২) নারায়ণঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ সভাপতি ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত অনিকের সহকর্মী মো. মামুন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যুবদলের আহ্বায়ক নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। ওই সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে অনিককে ধরে নিয়ে ঢাকা বাইপাস সড়কে চলন্ত মাইক্রোবাসের নিচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে যায়। এতে অনিক গুরুতর আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন : ডেকে নিয়ে কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

তিনি আরও জানান, অনিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মো. আমির হোসেনের সন্তান। তিন বোন-এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-অঞ্চল) আবির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কাছে রূপগঞ্জের কোথাও কোনো মিছিল কিংবা মিছিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য নেই। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বলে শুনেছি। এই বিষয়ে পুলিশকে কেউ কোনো অভিযোগ জানায়নি। আর তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়গুলো হাইওয়ে পুলিশ দেখে। 

এদিকে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় একজন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে বলে জেনেছি। তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে গাড়ির নিচে ফেলেছে কি না সেটি নিশ্চিত নই।

এসএএ/এসএসএইচ