ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ‘রাখবে না’ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

যদিও চুক্তি অনুযায়ী তিনি এখনো ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, তবে ভবিষ্যতে সেই চুক্তি নবায়ন করা হবে না। এ কারণে আসন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কোনো কার্যক্রমেও তাকে রাখা হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।

মোজাম্মেল হক বলেন, বিধি অনুযায়ী তার সঙ্গে দুদক এখনো চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে সাকিব আল হাসান এখন বিতর্কিত। কোনো বিতর্কিত মানুষের সঙ্গে দুদক নিজেকে জড়াতে চায় না। তাই সাকিব আল হাসানকে আর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ব্যবহার করবে না দুদক। 

আরও পড়ুন : সাকিব আল হাসান কেন বিতর্কিত পথে? 

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দুদকের চুক্তি হয়েছিল। এ ছাড়া হটলাইন-১০৬ উদ্বোধনকালেও তার সঙ্গে কাজ করে দুদক।

গেল কয়েক মাস ধরে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে বেশি আলোচিত সাকিব। বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন : দ্য সাকিব থ্রিলার! 

গত আগস্টে অনলাইন জুয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবির তিরস্কার হজম করতে হয় সাকিবকে। বলা হয়েছিল- চুক্তি বাতিল না করলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন টাইগার অলরাউন্ডার। বিসিবির এমন অনড় অবস্থায় শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব। 

একের পর এক বিতর্কের মধ্যে নতুন করে বাবার নাম নিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন সাকিব। মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের ফর্মে খন্দকার মাসরুর রেজার পরিবর্তে সাকিবের বাবার নাম আসে কাজী আব্দুল লতিফ। পরে বিষয়টি ভুল করে হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

আরএম/আরএইচ