আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লোকজন ভিন্ন খোলসে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে তা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নজরে আসবে- এমনটিই মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনে যেকোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারে। সেটিকে নিবন্ধন দেওয়া বা না দেওয়া নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আর জামায়াতের লোকজন যদি ভিন্ন খোলসে আবেদন করেন, নিশ্চয়ই তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আসবে, নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবে।

বিএনপির সমাবেশে সরকার কখনো বাধা দেয়নি দাবি করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা চাই বিএনপি সমাবেশ করুক। ঢাকা শহরেও সমাবেশ হচ্ছে। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক, সভা-সমাবেশ করুক, গণতন্ত্রকে সংহত করুক। 

বিএনপির সমাবেশের আগে শ্রমিক ধর্মঘট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি যেহেতু অতীতে বাস পুড়িয়েছে, ট্রাক পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে, সেজন্য বাস মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছেন খুলনায়। বরিশালেও যদি ডাকেন, একই কারণে ডাকবেন। রংপুরের কথা আমি জানি না। সেখানেও যদি সেরকম হয়, সেটি বাস শ্রমিক-মালিকদের বিষয়। তারা তো ইন্ডিপেন্ডেন্ট (স্বাধীন) বডি, পেশাজীবীদের সংগঠন বা মালিকদের সংগঠন।

পরিবহন শ্রমিক-মালিক সংগঠনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বাস শ্রমিকদের যে সংগঠন, সেখানে বিএনপি নেতারা আছেন, মালিকদের যে সংগঠন, সেখানেও বিএনপি-জাতীয় পার্টির সবাই আছেন। বিএনপি নেতারাসহ সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধর্মঘট করার। কারণ তাদের বাস যদি আবার পুড়ে যায়, মানুষকে যদি আবার পুড়িয়ে দেওয়া হয়! সেখানে (ধর্মঘট) আমাদের করার কী আছে?

এসএইচআর/আরএইচ