মেয়ের পরীক্ষার জন্য দেশে এসেছিলেন, আর ফেরা হলো না শাহাদাতের
মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা জন্য দেশে এসেছিলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন মজুমদার (৫১)। চাকরির জন্য আর বিদেশে ফেরা হলো না তার। ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
বিজ্ঞাপন
নিহত শাহাদাত হোসেনের ভাতিজা শোয়াইব মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার চাচা একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। আমার চাচাতো বোনের এসএসসি পরীক্ষা এজন্য চাচা কানাডাও আমেরিকা থেকে দেশে আসেন। এক মাসের মধ্যে চাচার আবার দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কথা ছিল। প্রতিদিনই চাচা রাত ৮টা সাড়ে ৮টায় হাঁটাহাঁটি করার জন্য ধানমন্ডি লেকে যেতেন। বাসায় ফেরেন রাত সাড়ে ১১টা বা ১২টায়। কিন্তু গতকাল রাতে চাচা বাসায় না ফেরায় আমার বাবাকে ফোন করেন। এরপর চাচির ভাইকেও ফোন করা হয়। পরে খবর পাই ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে একটি মরদেহ পড়ে আছে। মোবাইলে ছবি পাঠালে চাচার মরদেহ শনাক্ত করা হয়। চাচা দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আমার চাচার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। আমাদের বাসা কলাবাগান থানার ১৯ নর্থ সার্কুলার রোডের চার তলায় থাকতেন চাচা।
নিহত শাহাদাতের বন্ধু রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা একসঙ্গে লেখাপড়া করেছি। আমার সঙ্গে সব সময় তার যোগাযোগ ছিল। গতকাল রাতেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ভিডিও কলে। আজও তার সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আর কোনদিন দেখা হবে না। সে অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে পর্যালোচনা করছি। এ ঘটনায় নিহত শাহাদাতের স্ত্রীর বড় ভাই ধানমন্ডি থানা একটি মামলা (মামলা নম্বর-১৮) দায়ের করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা হতে পারে। যাচাই-বাছাই চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এসএএ/এমএ